অলোক আচার্য, খড়দহঃ- এবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন উত্তর ২৪ পরগণার ১০৯ খড়দহ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সিনহা। গত ২২ শে এপ্রিল তাকে বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে খড়্দহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খড়দহে খুব পরিচিত মুখ ছিলেন কাজল বাবু।

তার অসুস্থতার বিষয়টি তিনি আড়ালেই রেখে ছিলেন। সকলকেই নিয়ে চলার প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। এবারে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। তার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটের আগের বিকেলেই বাড়াবাড়ি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে জিততে পারলেন না খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা।

করোনা আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রয়াত তিনি। বৃহস্পতিবার ভোট ছিল খড়দহে। বুধবার তৃণমূল প্রার্থীর করোনা ধরা পড়ে। শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাজলকে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কাজলবাবু। বুধবার নমুনা পরীক্ষার ফল বেরোতে জানা যায়, তাঁর করোনা পজিটিভ।

গত দশ বছর খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়তেন অমিত মিত্র। কিন্ত দীর্ঘদিন তিনি অসুস্থ। অর্থমন্ত্রীর অসুস্থতার কারণে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্য বাজেট পেশ করেছিলেন। কাজল সিনহা ছিলেন খড়দহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এবার তাঁকেই টিকিট দিয়েছিলেন দিদি।

এদিন কাজল সিনহার মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, কাজল সিনহার মৃত্যুর খবর তাঁর কাছে বড় ধাক্কা। তিনি ছিলেন তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক। প্রয়াত নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা।

তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পরেন বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। কাজল বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ জানিয়ে তিনি এদিন বলেন “কাজল সিনহা আমাদের দীর্ঘ দিনের বন্ধু ছিলো আমরা দীর্ঘ পথ এক সাথে হেঁটেছি। রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে আমরা ব্যাক্তিগত জীবনে খুব ভালো বন্ধু ছিলাম তাই ওকে হারানো আমার কাছে স্বজন হারানোর কষ্ট দিচ্ছে।”

শোক জ্ঞাপন করেছেন সাংসদ সৌগত রায়, নৈহাটি তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, সাংসদ অর্জুন সিং সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রী রা।