সংবাদদাতা, বারাসাত :- হাসপাতালে রুগী না দেখে ডিউটি আওয়ার্সে চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা চলছে । রোগীর প্রাণ শিকেয় । এমনটাই অভিযোগ বারাসাত হাসপাতালের চিকিৎসক সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, হাসপাতালে যে সময় চিকিৎসা করার কথা সে সময় সুশান্ত চক্রবর্তী দিব্যি বাইরে ফলাও ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন । তাঁর ডিউটি আওয়ারসে রোগীদের মরণ ঘণ্টা বাজতে থাকে । তথাপি বেশ চলছিল কারবার । প্রতিবাদ ছিল মৌখিক স্তরে । বাদ সাধলেন জনৈক ভুক্তভোগী রোগী ও তাঁর পরিবার । হাসপাতালে কোনো হইচই না করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তাঁরা । বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি চাপাটি করায় বিষয়টি সবার নজরে এসেছে । সুশান্ত চক্রবর্তীর ‘ অশান্ত আচরণে ‘ ক্ষুব্ধ ভূক্তভোগী রোগীর পরিবার। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করেন গোপাল দাস, চিকিৎসা না পাওয়া এক রুগীর স্বামী। অভিযোগ বারাসাত কালিকাপুরের বাসিন্দা ওই পোডের স্ত্রী শঙ্করী দাসকে বুকে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপৎকালীন বিভাগে দেখানো হলে তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। অভিযোগ রাতের ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসক সুশান্ত চক্রবর্তী তার স্ত্রীকে দেখেনি। দশটার পরেও রুগীকে এমন ভাবে ফেলে রাখা ছিল যেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার সুশান্ত চক্রবর্তীর কোনো দায়ভার নেই। খোঁজ খবর নিয়ে রোগীর পরিবার জানতে পারে অভিযুক্ত চিকিৎসক মহোদয় তখন অর্থ রোজগারের নেশায় খেপ খাটছিলেন । তবুও চিকিৎসা মেলে অবশেষে । অভিযুক্ত পাষণ্ড ডাক্তার অনুপস্থিত থাকলেও হাসপাতালের সুপারের সৌজন্যে প্রাণে বাঁচেন রুগী । বিষয়টি বারাসাত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডলকে লিখিত ভাবে জানানোর পর শঙ্করী দেবীর চিকিৎসা শুরু হয়। রুগীর পরিবারের অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে পৌঁছেছে যার বয়ান চিকিৎসক সুশান্ত চক্রবর্তী হাসপাতালে ঠিকমতো ডিউটি না করে বাইরে রুগী দেখে বেড়ান। হাসপাতালের রুগীদের বঞ্চিত করে দিনের পর দিন ওই চিকিৎসক এমনই কাজ করে আসছেন বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে হাসপাতালে পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।