নিজস্ব সংবাদদাতা, হাসনাবাদ :- হাসনাবাদে মোনায়ারপুর বিষক্রিয়ায় আতঙ্ক, খবর পেয়ে আজ গ্রাম পরিদর্শনে রাজ্যের বিজ্ঞান মঞ্চের একটি প্রতিনিধি দল। গত একসপ্তাহ আগে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয় হাসনাবাদ মোনায়ারপুর কয়াল পাড়ার বাসিন্দা রাজু গাজীর। তার মৃত্যুর মাত্র একদিন বাদেই বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় ইসমাইল গাজী নামে আরও এক গ্রামবাসী। এরপর থেকেই সুপিয়া বিবি, মালেক গাজী, মন্টু গাজী সহ একে একে আনুমানিক ১৪ জন পুরুষ ও মহিলা আক্রান্ত হয় বিষক্রিয়ায়। এদের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললে বসিরহাট হাসপাতালে সুপার শ্যামল হালদার বলেন, “কয়েকজনকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। এখনো দুজনের চিকিৎসা চলছে। এদের শরীরে বিষক্রিয়া থাকলেও সাপ বা কোন বিষাক্ত কীটপতঙ্গের কামড়ের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি শরীরের কোন অংশে”। এর ফলেই আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিষক্রিয়ায় আতঙ্কে ইতিমধ্যে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। আর যারা গ্রামে আছেন তাদের ভরসা ওঝা কিংবা গুনিনের দেওয়া মাদুলি। খবর পেয়ে শনিবার গ্রামে যায় পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের একটি প্রতিনিধি দল।

এলাকার মানুষের মধ্যে থেকে আতঙ্ক কাটাতে গ্রাম পরিষ্কার ও কার্বলিক অ্যাসিড ছড়ানোর দরকার বলে জানান সংগঠনের ইছামতি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক প্রদীপ্ত সরকার। তবে কালাচ সাপের উৎপাত বাড়লে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার। এই আতঙ্কের মধ্যেই ওই গ্রামে একটি কালাচ সাপ মেরে ফেলা হয় বলে জানা যায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে।