সনাতন গরাই, পশ্চিম বর্ধমান :- ২০১৯ মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্রদের জীবনে প্রথম বড়ো পরীক্ষা। এই পরীক্ষার পরই স্বপ্ন দেখে ছাত্রছাত্রীরা।
কাঁকসার জামদহা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রথম স্থানে সাধন বিশ্বাস তার সর্বোচ্চ নাম্বার ৫৯৪।বাবা ভবতোষ বিশ্বাস চাষবাস করে কোনোক্রমে সংসার চালায়।অজয়পল্লী গ্রামে তারা বসবাস করেন।অনেক কষ্টের মধ্যেও ছেলেকে পরিয়ে বড় করতে চাই ভবতোষ।বাবার সাথে পড়াশোনার মাজে মাঠে যায় সাধন।আজ রেজাল্ট বেরোনোর পর সে স্কুলের প্রথম হয়ে অনেক খুশি।তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই সে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে পরের স্বপ্ন সাইন্স নিয়ে পড়ে আরো ভালো রেজাল্ট করে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা।মা বাড়ির কাজকর্ম করে।সাধন সংসারের একাই।এইরকম রেজাল্ট পেয়ে সে খুব খুশি,তার বাড়ির মা বাবাও খুব খুশি।সাধন জানান তাকে সবসময় সাহার্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তার মা বাবা।অতি অভাবের মধ্যেও তার কোনো জিনিসের খামতি রাখেনি তার মা বাবা।স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান সাধন পড়াশোনায় খুবই মেধাবী সে পরবর্তীকালে আরো ভালো নাম্বার পেয়ে ভবিষ্যতে আরো উন্নতি হবে।
অপরদিকে মলানদীঘি দুর্গদাস বিদ্যামন্দিরের প্রথম হলো শুভজিৎ গরাই তার সর্বোচ্চ নাম্বার ৫৮২।মলানদীঘির বিস্টুপুরের বাসিন্দা।তাদের বাড়ির অবস্থা ভালোই।সবসময় পড়াশোনায় মগ্ন শুভজিৎ আজ স্কুলের প্রথম।বইপত্র নিয়েই সারাদিন চর্চা।তার দাদু অতীতে একজন শিক্ষক ছিলেন এখন সে অবসর নিয়েছে।তার বাবা দীপ্তি গরাই সেও একজন শিক্ষিত ব্যাক্তি,সে বর্তমানে একটা দোকান চালায়।শুভজিৎ জানান সে ভবিষ্যতে আর্টস নিয়েই পড়তে চাই।তাকে সবসময় বাবা মা এবং দাদু পড়াশোনার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিন্টু চক্রবর্তী জানান শুভজিৎ সবসময় পড়াশোনায় ভালো।আজ সে স্কুলের প্রথম হয়েছে। পরবর্তীকালে আরো ভালো করে পড়াশোনা করে আরো ভালো রেজাল্ট করবে।