সুজয় মন্ডল, বসিরহাট :- সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল জখম পুলিশ কর্মীর। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সন্দেশখালির বৌঠাকুরুন এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের ভিতর অশান্তির খবর পেয়ে রাতে রজনী চৌকিদার ঘাট এলাকায় তল্লাশিতে গিয়েছিল সন্দেশখালি থানার মেজবাবু অরিন্দম হালদার এর নেতৃত্বে একটি পুলিশের দল। এলাকায় পুলিশ ঢোকার খবর পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ফাটায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কেদার সরদার ও তার লোকেরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করলে মেজ বাবু অরিন্দম হালদার সহ এক ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি আর একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার বাবুসোনা সিংহ গুলিবিদ্ধ হন ঘটনাস্থলে। পুলিশের দুটি মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় কেদার সরদার, লালটু সরদার ও তার লোকেরা। রাতেই আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কলকাতায় রেফার করেন চিকিৎসকরা। কলকাতার এক বেসকারি হাসপাতালে ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির চিকিৎসা চলছিল। শনিরার রাতেই মৃত্যু হল জখম ভিলেজ পুলিশ কর্মী বিশ্বজিৎ মাইতির।
জানা যায় সন্দেশখালি দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শিবানী সরদার এর স্বামী কেদার সরদার সন্দেশখালির রজনী চৌকিদার ঘাট এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তারই ভাই লালটু সর্দার, বিধান সরদার এদের সঙ্গে বৌঠাকরুন খটি ঘাট এলাকায় কালীপুজোর জলসা দেখতে গিয়েছিলেন কেদার। সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ মল্লিক এর তত্ত্বাবধানে কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এই জলসার। আর সেখান থেকেই সূত্রপাত গন্ডগোলের । জলসায় উপস্থিত মহিলাদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করার অভিযোগ পেয়ে প্রধান দিলীপ মল্লিক এর লোকেরা বারণ করতে গেলে তাদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে কেদার ও তার লোকেরা। বচসার মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দিলীপ মল্লিকের অনুগামী এক দলীয় কর্মীর পেটে কাচের বোতল ভেঙে ঢুকিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় কেদার ও তার লোকেরা। বিষয়টি সন্দেশখালি থানার পুলিশকে জানালে রাতে কেদারের বাড়িতে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ নিয়ে তল্লাশিতে যান সন্দেশখালি থানার মেজবাবু। তখনই তাদের উপরে বোমা ও গুলি চালায় কেদারের দলবল। পুলিশের উপরে গুলি চালানোর অভিযোগে কেদার সরদার ও লাল্টু সরদারকে গ্রেফতার করে শনিবার বসিরহাট আদালতে পাঠায় পুলিশ। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।