অলোক আচার্য, ব্যারাকপুর :- আই সি ডি এস। সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের ব্যারাকপুর ২ ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের ১৮দফা দাবি দাওয়া নিয়ে অবস্হান বিক্ষোভ করে শুক্রবার দুপুরে ব্যারাকপুর ২ নং সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের যুগবেড়িয়া তালবান্দা প্রকল্প আধিকারিককে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প:ব:অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যান সমিতির (ঐক্যমঞ্চ) কনভেনর ব্যারাকপুর ২ ব্লকের মিতা মজুমদার জানান দীর্ঘকাল যাবত বিভিন্ন অপ্রতিকূল সমস্যা বঞ্চনা অপমান অপবাদের সাথে কাজ করে চলেছে আই সি ডি এস বা সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা ব্যারাকপুর ২ নং ব্লকের ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত অধিন কর্মী ও সহায়িকারা। কাজের বহর দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু জীবনের মানের কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। সাংবিধানিক অধিকার পাচ্ছি না,দাবি পূরণ হচ্ছে না। সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। পদোন্নতি নেই। কাজের পরিকাঠামো ও পরিবেশ ঠিক নেই। এরকমই ১৮টি দাবি দাওয়া নিয়ে আজ ব্যারাকপুর ২ ব্লকের সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের আধিকারিক কে ডেপুটেশন দেওয়া হল।
ব্যারাকপুর ২ ব্লকের বিলকান্দা ১নং ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত,মোহনপুর,পাতুলিয়া,বন্দীপুর,শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকারা উপস্হিত ছিলেন। ব্যারাকপুর ২ ব্লকের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী পায়েল দত্ত,সংগীতা গাঙ্গুলি বলেন প্রথম ও প্রধান দাবি কর্মীদের নুন্যতম সান্মানিক ভাতা আঠারো হাজার এবং সহায়িকাদের নুন্যতম সান্মানিক ভাতা বারো হাজার করতে হবে। ৬৫বছরের একজন সান্মানিক কর্মীকে অসন্মান ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া ছাটাই করা হচ্ছে কেন? সকলের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ক্ষতিপূরণ হিসাবে কর্মীদের পাঁচ লক্ষ ও সহায়িকাদের তিন লক্ষ দিতে হবে না হলে অবিলম্বে পেনশন ব্যবস্হা চালু করতে হবে বলে জোরালো দাবি তোলেন। ব্যারাকপুর ২ ব্লকের শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প আধিকারিক ভারতী ঘোষ ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী ও সহায়িকাদের সঙ্গে বসে দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। আশ্বাস দিয়েছেন উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে বিডিও বিষয়গুলি জানাবেন।