সংবাদদাতা, দেগঙ্গা :- রেলের ব্যাটারি ও তার চুরি করার অভিযোগে দুই যুবককে লোকাল থানার সহযোগিতা নিয়ে গ্রেফতার করল আরপিএফ ফোর্স। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ও চৌরাশী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্যাটারি উদ্ধারে কবর খুঁড়ে খানা তল্লাসী রেল পুলিশের।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ রা মে হাড়োয়া রোড স্টেশন চত্বরে রেলের একটি কেবিন ভেঙে সেখান থেকে ৪৪ পিস ব্যাটারি ও লক্ষাধিক টাকার মূল্যের তামার কেবিল তার চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে তদন্তে নামে আরপিএফ ও জিআরপি পুলিশ। দেগঙ্গা থানার সহযোগিতায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে ধড়পড় করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল রেল পুলিশ। যার জেরে সাধারণ মানুষকে দূর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। স্টেশন চত্বর এর কাছাকাছি বসবাসকারী নিরীহ মানুষগুলোর উপর অত্যচার করছিল রেল পুলিশ এমনকি অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে গত একমাস পরে তদন্ত চালিয়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেগঙ্গার হাদিপুর ঝিকরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ইনোদা এলাকা থেকে তরিকুল মন্ডল ও দেগঙ্গার চৌরাশি গ্রাম পঞ্চায়েত জীবন পুর বাজার থেকে ইসমাইল মন্ডল নামে লোহা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে শনিবার সকালে। ধৃত তরিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে রেলের ব্যাটারি গুলোকে উদ্ধার করার জন্য রেল পুলিশ দেগঙ্গা বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালায় লোকাল দেগঙ্গ থানার পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে। ধৃতদের তরিকুল ইসলাম প্রথমে রেল পুলিশকে জানায় দেগঙ্গার চৌরাশী কুঠিপাড়া এলাকায় এক লোহা ব্যবসায়ীর কাছে রেলের কেবিল তার ব্যাটারি বিক্রি করেছে। সেই সূত্র ধরে জীবনপুর কুটিপাড়া ওই এলাকায় লোহা ব্যবসায়ী দোকানে হানা দেয় রেল পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া রেলের তামার কেবিল তার এবং ব্যবসায়ী ইসমাইল মণ্ডলকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তারপরে জানতে পারে চুরি যাওয়া ব্যাটারি গুলি দেগঙ্গার দেওয়ানা আটি গ্রামে একটি কবরস্থানের ব্যাটারিগুলি পোঁতা আছে। সেই মত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। কবর খুঁড়ে সেখান থেকে ব্যাটারি উদ্ধারে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কবর থেকে ব্যাটারি উদ্ধার হয়নি। রেল পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃতদের পুলিশী হেফাজতে চেয়ে রবিবার বারাসাত মহাকুমা আদালতে তোলা হবে।