নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট :- গত ১৩ জুন রাতে বাড়িতেই খুন হয়েছিলেন বসিরহাট উত্তর বিধানসভার টাকি তকিপুরের বাসিন্দা মহিলা বিজেপি কর্মী সরস্বতী দাস। খুনের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মৃত সরস্বতী দাসের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি মৃতের স্বামী শুভঙ্কর দাস নিজেদেরকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন সেদিন। কিন্তু মৃতদেহ ময়না তদন্ত থেকে শুরু করে সমস্ত কাজকর্মে শেষ পর্যন্ত মৃতের পরিবারের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বকে। শনিবার আবারো মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তার বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। তার সঙ্গেই এদিন সরস্বতী দাসের বাড়িতে যান বিজেপির বসিরহাট জেলা মহিলা মোর্চার সদস্যরাও। এদিন মৃত সরস্বতী দাসের বাড়িতে এসে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন ভারতী ঘোষ। বিজেপি করার অপরাধে সরস্বতী দাসকে খুন করা হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ তুলে ভারতী ঘোষ বলেন, “একটা নিরপরাধ মহিলাকে খুন করা হয়েছে শুধুমাত্র সে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল বলে। অথচ খুনের ঘটনার তদন্তে কোন পুলিশ কুকুর ব্যবহার করা হয়নি। খুনের কিনারা করতে আসেনি কোন ফরেনসিক দল। খুনের প্রমাণ হিসেবে কোন হাতের ছাপ নেওয়া হয়নি এখান থেকে। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে নিজে মনিটরিং করে তদন্ত করুন”। এদিন বসিরহাট থেকে রাজ্য সরকারের বিষয়ে বলতে গিয়ে সন্দেশখালি ও টাকি খুনের ঘটনা এমনকি জুনিয়র ডাক্তারদের বিষয় উল্লেখ করে রাজ্য সরকারকে প্যারালাইসিস সরকার বলে মন্তব্য করেন ভারতী ঘোষ।