*জমির মালিকের ছেলে শফিকুল ইসলামের বক্তব্য –
সংবাদদাতা, বারাসাত :- এবার পুকুর নয় সমুদ্র চুরির অভিযোগ। শিব ঠাকুরের আপন দেশে আইন কানুন সর্বনেশে । মৃত্যুর পরেও মানুষ কাগজ কলমে জীবিত হয়ে অন্যকে জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে দিচ্ছেন । অভিনব জালিয়াতির এ এক বিরল নমুনা। ২০০৮ সালে মৃত্যু হয় আব্দুল জলিল আলির । অথচ বিএলআরও অফিসের তথ্য বলছে ২০১৭ সালে তিনি তাঁর জমির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি করে দিয়েছেন জনৈক রথীন মন্ডল কে। মৃত্যুর আট বছর বাবা কি করে জ্যান্ত হয়ে উঠে আরেকজনকে জমির মোক্তারনামা তুলে দিলেন তা ভেবে ছেলে সফিকুল ইসলাম ও নূরুল ইসলামের চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় । সরকারী বিভাগের কাগজ দেখে তাঁরা তাজ্জব । তাঁদের অভিযোগ , আইনের দরজায় মাথা কুটে মরলেও সুবিচার মিলছে না ।
জালিয়াতির বেনজির দৃষ্টান্ত দত্তপুকুরের ঘটনা । মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরত দেওয়ার কথা বলার পরে যখন রাজ্যজুড়ে আন্দোলন ও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে , জুড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন নেতা ও কর্মী দের নাম পাশাপাশি তখন রাজনৈতিক প্রভাবসম্পন্ন মানুষদের বিরুদ্ধে দলিল জাল করা এবং প্রশাসনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে । অভিযোগ, দত্তপুকুর থানার ঘটনায় জমির দলিল জাল করে রথীন মন্ডল পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি হয়ে একজনের জমির দলিল জাল করে নিজের আত্মীয়কে বিক্রি করে দিয়েছেন । সরকারী নথি তাই বলছে । দলিল জালের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশের বিরূদ্ধে নিস্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠছে ।
এই ঘটনায় দত্তপুকুর থানার অনর্গত কদম্বগাছি গ্রামপঞ্চায়েতে রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি জমি জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল মন্ডলের জামাই ও ছেলে স্বদেশ মন্ডল ও রথীন মন্ডলের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়েছে এই অভিযোগ উঠছে। জমি যাঁর নামে ছিল তাঁর ছেলে সফিকুল ইসলাম জনিয়েছেন , তাদের বাড়ি দূরে হওয়ার কারণে জমির খোঁজ খবর নিতে পারেন না । সেই সুযোগ নিয়ে স্বদেশ মন্ডল ও রথীনমন্ডল তাদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ।
তাদের আরো অভিযোগ, দত্তপুকুর থানায় এফ আই আর দায়ের করলেও মৌখিক আশ্বাস দিলেও ব্যবস্থা নেয় নি দত্তপুকুর থানার পুলিশ। উল্টে অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যায় । স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিকদল , পুলিশ প্রশাসন সবার বিরুদ্ধে জালিয়াতি চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ আনছেন অভিযোগকারীরা । তথাপি তাঁরা সার্বিকভাবে দিশেহারা । জমি মালিকের মৃত্যুর নয় বছর পরে তিনি কাগজে কলমে বেঁচে উঠে জমির স্বত্ব অন্যের নামে কিকরে লিখে দিলেন তার সুরাহা ও সুবিচার না হওয়ায় জমি মালিকের পুত্র ও পরিবারবর্গ কিংকর্তব্যবিমূঢ় ।