সনাতন গরাই, দুর্গাপুর :- শাল সেগুন মহুয়ার গভীর জঙ্গলের ভেতর বিরাজ করে মা শ্যামরুপা দেবী। কথিত আছে রাজা ইছাই ঘোষ দেবীর স্বপ্নাদেশ পাই অষ্টমীর দিন যুদ্ধে যাবার, কিন্তু দেবীর স্বপ্নাদেশ লঙ্ঘন করে ইছাই ঘোষ সপ্তমীর দিন যুদ্ধে যায়। দেবীর কথা অমান্য করায় ইছাই ঘোষ পরাজিত এবং নিহত হন। তারপর রাজার অনুচরেরা দীর্ঘ দুই কিলোমিটার দূরে দ্বীপ সায়ের নামে একটি জলাশয় দেবীর মূর্তি বিসর্জন করে দেয়। সেই থেকে এই মন্দিরে অষ্টধাতুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে পূজা করা হয়। অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে গভীর জলের এক সুরঙ্গ থেকে অলৌকিক তোপধ্বনি বেরিয়ে আসে এবং প্রথমে এই মন্দিরে এবং তারপর আশপাশের গ্রামগুলিতে বলিদান শুরু হয়।

গভীর জঙ্গলের মধ্যে শান্ত পরিবেশে বিরাজ করে মা শ্যামরূপা দেবী। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন তার পরেই দুর্গাপুজো প্রত্যেক জায়গাতেই শুরু দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিপর্ব। ঠিক তেমনি দুর্গাপূজার চার দিন এই গভীর জঙ্গলের মধ্যে এই মন্দিরে প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক লোকের সমাগম হয়। পুলিশি নিরাপত্তা থাকে জোরদার। নবমীর দিন ৩০-৪০ হাজার মানুষের জন্য অন্নকুটের ব্যবস্থা থাকে। এখানে কোনো রকম মূর্তি করে পূজা করা হয় না, পাথরের শিলা মূর্তি উপরই পূজা করা হয়।