অলোক আচার্য, মধ্যমগ্রাম :- উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যমগ্রাম এল আই সি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো ৫৩ বছরে পড়ল। ভাবনা চলো ফিরে যাই শৈশবে। এই ভাবনাকে সামনে রেখে মন্ডপটি শিশুদের শৈশবকে ফিরিয়ে আনতেই খেলনা, পুতুল, লাট্টু দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এলাকায় ব্যপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। অনাথ শিশুদের দিয়ে শুভ মহাপঞ্চমীতে মাতৃ প্রতিমার আবরন উন্মোচন করা হয়। জীবন বীমা উপনগরীর একটি চিরাচরিত ঐতিহ্য রয়েছে এলাকায়। নিজস্ব হাউসিং কোঅপারেটিভ। নিজস্ব দুর্গা মন্ডপ। অধিবাসীবৃন্দের সহযোগিতায় পুজোয় এলাকার মানুষদের উন্মাদনা দেখা যায়। সমাজিক সাংস্কৃতিক কর্মসৃচীতে স্হানীয় প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের ও মহিলাদের সার্বিক অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। শনিবার সন্ধ্যায় হৃদয়পুর নবজীবন হোমের এবং পুরুলিয়া চরিরা গ্রামের অনাথ শিশুদের পোশাক ও বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের প্রীতি বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী উত্তম বোস, সারেগামাপা খ্যাত প্রথতিযশা সংগীত শিল্পী তানিয়া দাম, শিশুশিল্পী চিরশ্রী দাস। শিল্পী উত্তম বোসের সুরেলা কন্ঠে কিশোরকুমারের বেশ কিছু হিন্দি ও জনপ্রিয় বাংলা গান দর্শকদের মুগ্ধ করে। চিরশ্রীর কন্ঠে পুজোর গান ছিল বেশ সাবলীল। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর সুযোগ্য ছাত্রী প্রতিষ্ঠিত সংগীত শিল্পী তানিয়া দামের কন্ঠে বেশ কিছু জনপ্রিয় বাংলা হিন্দি সুফি ফোক গান দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। তানিয়ার সুরেলা কন্ঠে বাঙালীর পুরনো ঐতিহ্য পরম্পরা গান ‘বাংলা আমার সর্ষে ইলিশ চিংড়ি কচি লাউ’ আবার মাটির গান হৃদ মাঝারে রাখব ছেড়ে দিও না, ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় গানগুলি দর্শকদের মুগ্ধ করে। শুরুতে দেবী দুর্গার স্তোত্র দুর্গে দুর্গে দুর্গতি নাশিনী মহিষমর্দিনীর জয় মা দুগ্গে.. তানিয়ার কন্ঠে আবাহন বন্দনা ছিল বেশ সুন্দর উপস্হাপনা। অনুষ্ঠানটি মনোঙ্গ হয়ে ওঠে। সঞ্চালনায় বাচিক শিল্পী দেবযানী গোস্বামীর উপস্হাপনা ছিল বেশ সাবলীল। এলাকাবাসীর স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সার্থক রুপ পায়।