নিজস্ব সংবাদদাতা, বারাসাত :- মধ্যমগ্রামে তৃণমূল কার্যালয়ে গুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।রাতভর মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় এই পাঁচ জনকে।ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে একজন নাবালক। নাবালক হওয়ায় তাঁর নাম জানাতে রাজি হননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। বাকিদের নাম সোমনাথ দত্ত (বাচ্চু),গনেশ ওঁরাও, প্রান সিং,অমিত হালদার।
এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্ব চাঁদ ঠাকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,”মধ্যমগ্রাম কান্ডে আমরা পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।আজ ধৃত পাঁচ জনকে বারাসত আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে”। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্ত রাখাল নন্দী এখনও অধরা। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও দুষ্কৃতী তান্ডবের ছবি তাতে ধরা পড়েনি। পুলিশ মনে করছে, তৃনমূল কার্যালয়ের দিকে মুখ করা সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দুষ্কৃতীরা।তার ফলেই দুষ্কৃতী তান্ডবের ছবি ধরা পড়েনি।বাকি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দুষ্কৃতীদের পালানোর ছবি ধরা পড়েছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে, গতকালের রাতের দুষ্কৃতী তান্ডবের পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারন নেই বলেই ধারনা পুলিশের। জমিজমা ও সিন্ডিকেট ব্যবসার ভাগবাটোয়ারা নিয়েই এমন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। গতকালের দুষ্কৃতী তান্ডবের পর আজ সকালে এলাকার পরিস্থিতি ছিল থমথমে। তৃনমূল কার্যালয়ের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়িও।অন্যদিকে,বোমা ও গুলিতে আহত তৃনমূলের যুব নেতা বিনোদ সিং ও তৃনমূল কর্মী দীপক বোসের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।বিনোদের গুলি মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়।আর বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে হাতে লাগে দীপকের।দু-জনকেই বারাসতের যশোর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা শুরু হয় তাঁদের। প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজারে তৃনমূল কার্যালয়ে ঢুকে আচমকাই বোমা ও গুলি নিয়ে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। মুহুর্মুহু বোমা ও গুলিতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথচলতি সাধারন মানুষ।বোমা ও গুলিতে আহন হন তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক বিনোদ সিং ও তৃনমূল কর্মী দীপক বোস। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের যশোর রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালের আইসিইউতে। সূত্রের খবর, বিনোদনের গুলি যেহেতু মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে গেছে, সেইজন্য কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে রাতেই তাকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।