পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুর :- হাতে গোনা আর মাত্র ৩ দিন তারপর দেবী দুর্গা পাটে উঠবেন আর তার সাথে আপামর বাঙালী মেতে উঠবেন শারদ উৎসবে। কিন্ত এবছর প্রকৃতি সঙ্গ না দেওয়ায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মাথায় হাত পড়েছে কাপড়ের দোকানদার থেকে শুরু কৃষকদেরও বৃষ্টিতে জমিতে অসম্ভব জল জমে যাওয়াই ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন তারা। আশ্বিন মাসে ছিপছিপে বৃষ্টিতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন সকলে আর সারা রাজ্যের সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও একই পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন আগে হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয় বঙ্গোপোসাগরের ঘূর্ণাবর্তের জেরে উপকূলবর্তী এলাকা গুলোতে আছে পড়তে চলেছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আর তার সাথে একটানা নিন্মচাপ তারই রেশ পড়বে সারা রাজ্য জুড়ে গত কয়েকদিন থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ছিপছিপে বৃষ্টির সাথে নিম্নচাপ তার জেরে এই পুজোর সময় বৃষ্টি আরো বেশি করে ভয়াবহ বন্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বৃষ্টির সাথেই হাড় হিম করা ঠান্ডা হাওয়ার জেড়ে কাবু আবালবৃদ্ধবনিতা। এদিকে সারারাত দিন থেকে ছিপছিপে বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল জমেছে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ তৈরি হয়েছে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের গত শনিবার থেকে বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টির দরুন জনজীবন বিপর্যস্ত এদিকে বৃষ্টি হওয়াতে সকলের মাথায় ছাতা যেমন উঠেছে তেমনি তার পাশাপাশি গায়ে উঠেছে গরম পোশাক আবার কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য এই গরম পোশাকের উপরেও রেইনকোট পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এই দিন দেখা গেল এই দৃশ্য সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে বাস গুলো সারি বদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল যাত্রী কম থাকায় টোটো অটো ও বাস মালিকরা লাভের মুখ কম দেখছেন বলে জানান পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন দোকান দোকানপাটও বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ ও সরকারি চাকুরিজীবীরা বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করলেও বৃষ্টির কারনে বাস কম থাকায় প্রবল ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে বাদুড়ঝোলা হয়ে প্রায় ভিজতে ভিজতে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছান এ বিষয়ে গঙ্গারামপুরের এক স্কুল শিক্ষক নারায়ন সরকার বলেন গত কয়েকদিন আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়াতে আরো বেশিভাবে বন্যা পরিস্থিতি হতে পারে। তার সাথেই বিরক্তিকর নিম্নচাপের বৃষ্টি যার জেরে সত্যি আমরা ভীষণ ভাবে বিপর্যস্ত খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছি জানিনা কয়দিন এরকম থাকবে তবে এই বৃষ্টির জন্য বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন কেউ। লাগাতার চলে আসা নিম্নচাপ বৃষ্টির জেরে চাষের জমি সহ শাকসবজির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান জেলার একাংশ কৃষকরা তারা জানান যে ধান গম এই বৃষ্টির জেরে ক্ষতির মুখে পড়ছে যার জেরে এবার তারা খুব একটা লাভবান হবেন না বলে আশংঙ্কা করছেন কৃষকরা তাদের বক্তব্য এ বৃষ্টি হওয়াতে জল চাষের জমিতে জমে উঠছে যার ফলে এই সময় এ জলে ধান গম ও অন্যান্য শাকসবজি পঁচতে শুরু করবে যার জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো জানি না প্রকৃতির এই লীলা কবে বন্ধ হবে পাশাপাশি। অন্যদিকে কাপড়ের দোকানদারেরা বিক্রি না হওয়ায় বসে মাছি তাড়াচ্ছেন। আবার বৃষ্টির জেরে কুমোরটুলির প্রতিমা না শুকোনোর ফলে চিন্তায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। আবার বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অনেকেই স্কুল অফিস কলেজ ব্যবসা পত্র বন্ধ করে মজে উঠেছে পিকনিক করাতে এই পিকনিকের মেনুও বেশ লোভনীয় ও সুস্বাদু খিচুড়ি পাপড় ভাজা বেগুনি চাটনি মিষ্টি সহ কচি পাঁঠার মাংস এই পিকনিকে রসিক বাঙালি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পিকনিক করেছেন তবে কিছু কিছু মানুষের দাবী যে যাই বলুক না কেন বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা যে পড়ছে তা বলাই বাহুল্য একটু অসুবিধা হলেও এই পরিবেশটাই কিন্তু বেশ মজার লাগছে তবে হাওয়া অফিস কি বলছে তা শুধু জানার বাকি আমরা বুঝতে পারছি এই বৃষ্টি শেষ হলে জাঁকিয়ে পুজোর আনন্দে আপামর বাঙালী মেতে উঠবেন সারা রাজ্য সহ আমাদের জেলাতেও আর আমরাও মজে উঠবো পিকনিকে তবে আপাতত বৃষ্টিতে বিরক্তিকর জনজীবন যেভাবে বিপর্যস্ত তাতে অনেকে ঘরে বসেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছে কবে এই বৃষ্টি থামবে তা জানার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষেরা বৃষ্টিতে একাংশ মানুষ আনন্দে মজেছেন তা বলাই বাহুল্য রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে কাক ভেজা হয়ে অনেকেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তাদের কর্মস্থল থেকে দোকানপাটও এদিন সকাল সকাল বন্ধ হয়ে যায় গঙ্গারামপুর এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্যস্ততম শহর এই গঙ্গারামপুরে প্রতিদিন যে পরিমাণে মানুষের ভিড় ও যানজট সৃষ্টি হয় তা মঙ্গলবার সকাল থেকেই চিত্রটা পাল্টে গেছে । সকাল থেকেই বৃষ্টির জেরে দোকানপাট বন্ধ ছিল যাত্রীরা অনেকে বাড়িমুখো হয়েছেন আর অনেকেই বাড়িতে বসে গরম খিচুড়ি খাওয়াতে ব্যস্ত তবে এই টিপ টিপ বৃষ্টি সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া আবহাওয়ায় যে যাই বলুক না কেন সব থেকে বেশি আনন্দে মজেছেন মদপিপাসুরা এদিন সকাল থেকেই শহরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান গুলিতে ভিড় ছিল দেখার মতো অন্যদিকে পৌর এলাকা ও বিভিন্ন এলাকার ড্রেনগুলি সংস্কার না হওয়ার দরুন জল জমে উঠেছে ড্রেনের নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসছে বলে অনেকে অসুবিধায় পড়েছেন পাশাপাশি গ্রামের রাস্তা গুলো বৃষ্টি হওয়ার যে বেহাল হয়ে উঠেছে তাতে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এত কিছু সমস্যা হলেও কারো কোন বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই কারণ সবাই বৃষ্টির সাথে দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানিয়েছেন তা এই দিনে তাদের পিকনিক করার আমেজ দেখে বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে, এসব কিছুকে উপেক্ষা করে অনেকে বাড়িতে ও পিকনিকের আসরে জমিয়ে কব্জী ডুবিয়ে খেতে ব্যাস্ত।