সুজয় মন্ডল, বসিরহাট :- বিজয়া দশমী উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বসিরহাট মহকুমার টাকি ইছামতি নদীর পাড় ছিল পর্যটকে ঠাসা। বিজয়া দশমীর মরশুমে টাকি শহর থেকে শুরু করে ইছামতি সংলগ্ন সমস্ত গেস্ট হাউস চলে যায় বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের দখলে। অতি উৎসাহ নিয়ে টাকি ইছামতি নদীতে বিজয়া দশমী দেখতে আসা পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট তৎপর ছিল টাকি পৌরসভা। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে এসেও টাকি ইছামতি নদীতে মিলন মেলার স্বাধ অপূর্ণ থেকে গেল পর্যটকদের কাছে। সকাল থেকে টাকি রাজবাড়ি ঘাট থেকে প্রতিমা তোলা হয় নৌকায়।

সকালেই সেখানেই কিছু প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় নদীতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীতে দেখা যায় পর্যটকদের নৌকা। কিন্তু কোনও ভাবে যাতে নৌকা সীমানা অতিক্রান্ত করতে না পারে তা নজর রাখতে যথেষ্ট তৎপর ছিল প্রশাসন। নদীর মাঝ বরাবর নৌকা দিয়ে সীমানা তৈরী করে চলে নজরদারী। নৌকার সীমানা দিয়ে স্পীড বোটে করে চলে বিএসএফ এর পাহারা। শেষ বেলা পর্যন্ত নিজের সীমানার মধ্যেই শুধুমাত্র নৌকা বিহারেই সময় কাটাতে হয় পর্যটকদের। বিগত ২০১১ সালের আগে পর্যন্ত এই নদীতে চলত দুই বাংলার মিলন উৎসব। যার টানে আজও দূর-দূরান্ত থেকে টাকি শহরে ছুটে আসেন পর্যটকরা। কিন্তু প্রশাসনের কড়াকড়িতে এবছরও মিলন উৎসব অধরা থেকে গেল পর্যটকদের কাছে। একপ্রকার জৌলুশহীন ভাবেই শেষ হল টাকির বিজয়া দশমী। তবে বিজয়া দশমীতে দুই বাংলার মিলন উৎসব না হলেও বেশ উন্মাদনার সঙ্গেই মঙ্গলবার বিজয়ার প্রদর্শণী চলে বসিরহাট ইছামতি নদীতে। বসিরহাট ইছামতি নদীতে বিজয়া দশমীর প্রদর্শণী দেখতে এদিন দুপুরের পর থেকে নদীর দুই পাড়ে উবচে পরে মানুষের ভিঁড়।