অলোক আচার্য, নিউ বারাকপুরঃ- আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তিন অঙ্কে পৌছতে পারবে না, তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।উত্তর ২৪পরগণা জেলার নিউ বারাকপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিরাট জনসভায় রবিবার বিকেলে স্থানীয় মহাজাতি পরিষদ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের একথা গুলি বলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, লড়াই টা বাঙালি বনাম বহিরাগতের। বাঙালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগতরা জেপিনাড্ডারা। জেপিনাড্ডারা কলকাতায় যত কম আসবে তত ভাল। বাংলার ইতিহাস কৃষ্টি সংস্কৃতি জানেনা। বলছেন বাংলার একটি মন্দিরে চৈতন্য দেব দীক্ষা নিয়েছিলেন। ভুল ভাল বলছেন।মমতাকে আঘাত করতে এসে নিজেরা হাস্যকর করছেন। বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা একটি শ্লোগান। অমিত শাহকে পেট মোজা জী বলে কটাক্ষ করেন সাংসদ।

কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, নিউ বারাকপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তৃপ্তি মজুমদার, দক্ষিণ দমদম পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পাচু গোপাল রায়, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল, নিউ বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য প্রবীর সাহা, নিউ বারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুখেন মজুমদার, তৃণমূল মহিলা নেত্রী নির্মিকা বাগচী, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুমন দে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মনোজ সরকার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটরা।
এদিন সিপিআই এমের শাখা সম্পাদক সহ চারজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, মহিলাদের ঐক্য, তাদের ধৈর্য্য আমাদের দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তাই তাদেরকে অভিনন্দন না জানিয়ে আমি থাকতে পারছি না।

মন্ত্রী আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা আন্দোলনের নাম। আন্দোলন শব্দটাকে উচ্চারণ করতে গেলেই তার সাথে সমান্তরাল ভাবে যে নামটা উঠে আসে, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এটাতে তো কোনো সন্দেহ নেই। তিনি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখনও তিনি লড়াই করেছেন। প্রশাসনে মুখ্য জায়গায় থেকে তিনি সবসময় মানুষের পাশে থেকে মানুষের লড়াইকে সংবর্ধিত করেছেন।
প্রশাসনে মুখ্য জায়গায় থেকে তিনি সবসময়ই লড়াই করে গেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। শুধু বাংলা দেখছে না, ভারত দেখছে না— সারা বিশ্ব এর সাক্ষী থেকে যাচ্ছে। বাম চিন্তাধারা বা কমিউন মানে কমিউনিটির সাথে জড়িয়ে থাকা। এই কাজগুলো যে বাংলার বুকে করে থাকে, সে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডান বামের প্রশ্ন নয়, প্রশ্ন মানুষের পাশে থাকার। এটাই একটি রাজনৈতিক চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। সেটা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আছে। তাই লক্ষ লক্ষ মানুষ তার পিছনে হাঁটেন।
তিনি মাটির গন্ধটা চেনেন। কেউ যদি মনে করে. হাওয়াই চটির সাথে পাল্লা দেবে, সেটা হয় না। স্যুট বুট পরে সেসব হয় না। ঐ চটিটা মাটির গন্ধ চেনে। ঐ হাওয়াই চটিটা ৪২ হাজার গ্রামকে আনাচে কানাচে চেনে। ঐ হাওয়াই চটিটা ২৩টা জেলার মাটির গন্ধের সাথে মিশে রয়েছে। তাই তো চাইলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়া যায় না।