নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ :- বনগাঁ পৌরসভার আস্থা ভোট নিয়ে বিভ্রান্তি , ভোট দিলেন না বিজেপি কাউন্সিলররা । কার্তিক মণ্ডল ও হিমাদ্রি মন্ডল নামে বনগাঁর দুই কাউন্সিলারের নামে তৃণমূলের এক কাউন্সিলারের অপহরণের অভিযোগ এনে চলতি মাসের ১২ তারিখ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বনগাঁ থানায় । ফলে ওই দুই কাউন্সিলারকে আগাম জামিন নিতে হয় হাইকোর্ট থেকে । আগাম জামিনের কাগজ হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপির কাউন্সিলাররা দেখাতে চাইলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি পুলিশের তরফে জামিনের হার্ডকপি দেখাতে বলা হয় । কিন্তু বিজেপি কাউন্সিলররা হার্ডকপি দেখাতে না পারায় অপহরণের অভিযোগ ওঠা ওই দুই কাউন্সিলর কে ভোটাভুটিতে ঢুকতে দেবে না বলে জানায় । ভোটাভুটিতে তাদের ঢুকতে না দেওয়া নিয়েই বিপত্তি বাধে । পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলরদের ধস্তাধস্তিও হয় । ওই দু’জন ঢুকতে না পারায় বাকি নয়জন বিজেপির কাউন্সিলার আস্থা ভোট দিতে ঢোকেননি ফলত এদিন আর আস্থা ভোট করা সম্ভব হয়নি ।
তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের দাবী বনগাঁ পৌরসভা তাদের দখলে। ২২ জন কাউন্সিলরের ১১ জন এমূহূর্তে বিজেপিতে ১০ জন তৃণমূলের । বিজেপির দুই কাউন্সিলর ঢুকতে না পারায় অন্য নয় জন ও আস্থা ভোটে ঢোকেন নি । ইতিমধ্যে পৌরসভার বাইরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি হয়ে ওঠে অশান্ত । এব্ং এরপরেই দেখা যায় তৃণমূলের শংকর আঢ্য কে দেখা যায় , বাইরে এসে জানাতে , পৌরসভা বোর্ড তৃণমূলের ।তাঁদের দশ জন ও বিজেপির কেউ না থাকায় তৃণমূল বোর্ড গঠন করেছে দাবী ছিল তাদের ॥ কিছুক্ষণ পরে বিজেপি গিয়ে নির্বাচনী কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করে এব্ং জানিয়ে দেয় ১১কাউন্সিলর তাদের সঙ্গে । বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের দাবী আধিকারিক তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেনে নেন। তাঁরা এবার আধিকারিকের সই করা চিঠি হাইকোর্টে দেখিয়ে তাদের দখল সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন । তিনি তৃণমূলের শংকর আঢ্যর দাবিকে নস্যাৎ করে বলেন , হাই কোর্ট যাঁদের রেসূলেসন করার দায়িত্ব দেয় তাদের আটকে রেখে মাত্র দশ জন নিয়ে হাস্যকর দাবী তুলছে। তাঁর দাবী বোর্ড বিজেপির । একইসঙ্গে এদিন পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার নিন্দা করে বিশ্বজিৎ দাস জানান ,পশ্চিমবঙ্গে এদিন গণতন্ত্রের মৃত্যৃ হলেও হাইকোর্ট মাথার ওপরে থাকায় বনগাঁ পৌরসভা তাঁরা দখল করছেন । বনগাঁ পৌরসভা কার দখলে এনিয়ে এখনও সরকারী ঘোষণা মেলে নি।
*বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটে কেনো বিজেপির দুই কাউন্সিলার হিমাদ্রি মন্ডল ও কার্তিক মন্ডল ঢুকতে পারলোনা। শুনুন তাহলে*