চঞ্চল মিস্তিরী, বাংলাদেশ প্রতিনিধি :- নোয়াখালী সদর উপজেলার হাসপাতাল রোডে স্থাপিত নোয়াখালী স্কায়ার ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস চেম্বার ও নোয়াখালী ইনসাফ হসপিটাল (প্রা:) এ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে প্রতিষ্ঠান দু’টি কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন মো: রোকনুজ্জামান খান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।আদালত পরিচালনায় প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মমিনুর রহমান ও নোয়াখালীর ড্রাগ সুপার মাসুদুজ্জামান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন উপ-পরিদর্শক হিমেল চামকার নেতৃত্বে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। বিকাল ৫.৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭.৪৫ পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।নোয়াখালী স্কয়ার ডায়াগনস্টিক ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্তরস চেম্বারে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়- ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্যাথলজীর প্যাথলজিস্ট নেই, ল্যাব ট্যাকনেশিয়ান নেই, এক্স-রে করার জন্য রেডিওগ্রাফী নেই,আনবিক শক্তি কমিশনের লাইসেন্স নেই, প্রদর্শিত মূল্য তালিকার সাথে গ্রহককে প্রদেয় রশিদের টাকার পরিমানে গড়মিল, ৪ বছরের পুরাতন ডাক্তারের নাম ব্যবহার করে ডাগায়নস্টিক চালানো ও নোংড়া পরিবেশ এবং ফার্মেসী পরিচালনায় নেই কোন ফার্মাসিস্ট ও ফার্মেসীতে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মেয়াদ ঔষধ সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
এসব অপরাধে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ ধারায় ৫হাজার টাকা এবং ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর ২৭ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর লাইসেন্স বিধি অনুযায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্দিষ্ট মানে উত্তরণ না হওয়া পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন না করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মমিনুর রহমানকে অনুরোধ করা হয় ও নোয়াখালী স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ড্রাগ আইন ১৯৪০ অনুযায়ী স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভ্যন্তরের স্থাপিত ফার্মেসীতে বিধি মোতাবেক ফার্মাসিস্ট নিয়োগ না করা পর্যন্ত ফার্মেসীও বন্ধ ঘোষণা করা হয়ে এবং এ বিষয়টি তত্তাবধান করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত ড্রাগ সুপার মাসুদুজ্জামানকে অনুরোধ করা হয়।নোয়াখালী ইনসাফ হসপিটালে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়- নোংড়া পরিবেশে ছোট ছোট কক্ষে ভর্তিকৃত রোগীদের রাখা হয়েছে, কোন নার্স নেই, আয়া নেই, ডাক্তারদের সাথে লিখিত চুক্তি ব্যতিত তাদের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে, মূল্য তালিকায় সকল সেবার মূল্য উল্লেখ নেই, বিধি অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, অপারেশন থিয়েটারের অবস্থা খুবই নাজুক এবং হসপিটালের ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স নেই, ফার্মেসীর ফার্মাসিস্ট নেই ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফার্মেসীতে প্রদর্শন হচ্ছে। এসব অপরাধে মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ ধারায় ৫হাজার টাকা এবং ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর ২৭ধারায় ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময় মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর লাইসেন্স বিধি অনুযায়ী নোয়াখালী ইনসাফ হসপিটালকে এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং এ সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট মানে উত্তরণ না হতে পারলে হাসপাতাল পরিচালনার লাইসেন্স বাতিল করে স্থায়ীভাবে হসপিটালকে বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সময় উপস্থিত সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ মমিনুর রহমান কে অনুরোধ করা হয়। একই সাথে ড্রাগ আইন ১৯৪০ অনুযায়ী নোয়াখালী ইনসাফ হসপিটালে স্থাপিত ফার্মেসীকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় ও তা তত্ত্বাবধান করার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত ড্রাগ সুপার মাসুদুজ্জামানকে অনুরোধ করা হয়।