সংবাদদাতা, নিমতা :- নিমতা অঞ্চল এক অভিনব রক্ত দান শিবিরে র সাক্ষী হয়ে রইল এলাকার মানুষ যা কিনা এক বিরল দৃষ্টান্ত । শ্রাদ্ধানুষ্ঠান না করে রক্ত দান শিবিরে র আয়োজন করল শোকাহত পরিবার । বাসুদেব পাল( কানু)(৫১)। গত ১৫ই আগষ্ট কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক সরকারী হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। বাড়ি নিমতা দূর্গাপল্লী। প্রয়াত ব্যক্তির স্ত্রী ও এক মেয়ে । স্ত্রী ইন্দ্রানী পাল ও মেয়ে জয়ন্তী পাল কলেজের২য় বর্ষে র ছাএী। কানু পালের বাবা ও মা বর্তমান । ২ভাই ও ৪ বোন তাদের। কানু পাল ছিলেন জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন। পরিবারের সকলে মিলে পেশায় ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী কানু পালকে স্মরণ করলেন শ্রাদ্ধে রক্তদান অনুষ্ঠান করে ।
প্রয়াত কানু পাল ডঃ অমিতাভ বোস স্মৃতি রক্ষা কমিটির সহ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যু তে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান না করে রক্তদান শিবিরে র মধ্যে দিয়ে মৃতের প্রতি রাখা হল শ্রদ্ধার্ঘ । সামাজিক দায়বদ্ধতার ঘেরাটোপে তথাকথিত আতিথেয়তা না করে রক্তদান শিবির সংগঠিত করল পরিবারের পক্ষ থেকে । এই রক্তদান শিবিরে রক্ত সংগ্রহ করতে আসে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক । ৫০জন রক্ত দাতা রক্ত দান করেন। এই রক্ত দান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ডঃ জে পি ব্যানার্জী(সভাপতি ) পুলক পাল সম্পাদক সুরঞ্জন ত্রিপাঠী এবং বিজয় বোস। এছাড়ও এলাকার বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচর্য্য উপস্থিত হতে না পারলেও মহতী শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান এরকম উদ্যোগের সফলতা কামনা করে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় , কানু পাল যেহেতু সবসময়ের জন্য মানুষের পাশে থেকেছেন মানুষের জন্য কাজ করেছেন তাই তাঁর শেষ অনুষ্ঠানটিতে আমরা এই উদ্দোগ গ্রহন করেছি। উল্লেখ্য মৃতের চোখ দান করা হয়েছিল । জীবদ্দশায় এলাকার মাঠ রক্ষা করতে বা পুকুর , মাঠ দখল করে বেআইনী চক্রের বিরূদ্ধে সদা জাগ্রত ছিলেন যে কানু পাল , তাঁর মৃত্যুর পরে ও তিনি দৃষ্টান্ত হয়ে রইলেন।