অলোক আচার্য, নিউবারাকপুর :- গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর নব বারাকপুরের মাসুন্দায় স্বনামধন্য সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরলহরী-র জমজমাট বার্ষিক অনুষ্ঠান হয়ে গেলো স্হানীয় সুহৃদ সংঘের মুক্ত মঞ্চে। সুরলহরী-র অধ্যক্ষ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল স্বরূপ প্রায় ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহনে অসাধারণ সঙ্গীত মুখর সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর সুযোগ্য পুত্র সমন্বয় চক্রবর্তীর কথায় ও সুরেখুব সুন্দর একটি গান “গান শুরুর পালা , বন্ধ পাঠশালা গাইছে ফেরিওয়ালা গান” দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনাহয়। তার পর বৈদ্যনাথ বাবুর গুরু পণ্ডিত জয়ন্ত সরকারের কথা ও সুরের গান “সুর সাগর পারে সুরের তরী বেয়ে ভেসে যাবো আমরা শুধু গান গেয়ে ” সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। ছোটদের দুইখানি সমবেত সঙ্গীত শেষে মোট ১৯ জন ছাত্রছাত্রী তাদের একক গান পরিবেশন করেন। খুব মনোরম পরিবেশে বাংলা ও হিন্দি গানের স্বর্ণ যুগের গান পরিবেশন করেন তারা। সর্ব শেষ সুরলহরী- র অন্যতম ছাত্র উৎপল দে বেশ কয়েক খানি নতুন ও পুরানো গান পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। উল্লেখ্য প্রথতিযশা সংগীত শিল্পী উৎপল দে বৈদ্যনাথ বাবুর কাছেই যার হাতেখড়ি, এখনো সে তালিম নিয়ে চলেছে গুরুজী বৈদ্যনাথ বাবুর কাছে। এই মুহূর্তে ধানুকা এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ৫ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শিল্পী উৎপল। ইতিমধ্যে তার কয়েকটি গান রেকর্ড ও হয়েগেছে।
সূদুর বিড়া থেকে ছাত্রী রুম্পা দে ও নিউ ব্যারাকপুরের উৎপলের সুরেলা কণ্ঠে *”মেরে ঢোলনা”* গানটি অসাধারণ মাত্রা পায়। এছাড়াও রুম্পার খুব মিষ্টি কণ্ঠে বাংলা হিন্দি সঙ্গীত মানুষের মনকে নাড়া দেয়। হাসনাবাদ থেকে রিয়া, ও বসিরহাট, বারাসাত, মধ্যমগ্রাম, সোদপুর, রাজারহাট ও নিউ বারাকপুরের ছাত্রছাত্রীরা তাদের সুরের মূর্ছনায় একটু সুন্দর সঙ্গীত মুখর সন্ধ্যা উপহার দেন এলাকাবাসীদের। নব বারাকপুরের বিক্রম কিশোর কুমার ও মান্না দের একটি বিখ্যাত গান *”এক চতুর নার হসিয়ার “* গানটি দক্ষতার সঙ্গে পরিবেশন করে। সুন্দর উপস্হাপনা। সুর লহরী- র তিনজন ছাত্রীকে ( বারাসাতের নিবেদিতা রায় বয়েস ১৪, বারাসাতের গুঞ্জা বয়স ১০, নিউ বারাকপুরের শ্রেষ্ঠ বয়স ৬) বর্ষ সেরা পুরস্কার দেন সুরলহরী-র অধ্যক্ষ বৈদ্যনাথ বাবু।
অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ র মুখে সুর লহরী র অধ্যক্ষ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী র ভোকাল ট্রেনিং ও গানের গ্রুমিং করার ভূয়সি প্রশংসা করেন দর্শকসাধারন।