নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁচরাপাড়া :- দল যার ছাড়তে চাইছেন তাঁরা সাতদিনের মধ্যে দল ছাড়ুন , শুদ্ধিকরণ হবে দলের। কাঁচরাপাড়া দলের এক কর্মী সভায় এসে এমনই কথাই ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” আমি চাই আমার বখাটে ছেলেমেয়েরা চলে আসুক দলে । রাস্তায় যারা আড্ডা মারে তারা চলে আসুক । ওরা দলের হয়ে কাজ করুক ।লোক্যাল নেতারা বায়োডাটা করে দিক । যেকোনো জায়গা দিয়ে কেউ না কেউ ঢুকে যাবে । বখাটে বাউন্ডুলেদের অভুতপূর্ব চাকরির প্রতিশ্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের । পশ্চিমবঙ্গে এখন থেকে বখাটে ছেলেরাও চাকরি পাবে। কর্মীসভা থেকে অভুতপূর্ব প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । প্রকাশ্য সভায় তিনি বলেন, তাঁর দল তৃনমূল কংগ্রেসের হয়ে ভালো কাজ করলে তিনি বখাটে বাউন্ডুলে দের চাকরির ব্যাবস্থা করে দেবেন। এদিন মঞ্চ থেকে মমতা তাঁর দলের নেতাদের এলাকার সমস্ত বখাটে যুবকদের বায়োডাটা সংগ্রহ করে তাঁর কাছে দেওয়ার জন্য নির্দেশও দেন। এদিন মমতা তাঁর দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন, গরীব ছেলে মেয়েদের দিয়ে দলের কাজ করাতে হবে। তাদের মধ্যে যাদের খুব প্রয়োজন তাদের জন্য কোথাও না কোথাও চাকরির ব্যাবস্থা তিনি করে দেবেন।

মমতা এদিন বলেন, অনেকে ছেলেমেয়ে আছে, যারা গরীব। তাদের পয়সা কড়ি নেই। পড়াশুনা করতে পারেন না। চাকরি পান না। তাদের বাড়ি কি করে চলবে সেটা কেউ ভাবেন না। এই সমস্ত ছেলে মেয়েদের কাজের ব্যাবস্থা করতে চাই আমি।

মমতা বলেন, আমি সব সময়ই গরীব মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। যারা কোনও কারনে মারা যান, তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার ব্যাবস্থা করি।

মমতা এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করেন, সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে যে দুইজন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবার চাইলে তিনি ওই মৃত দুই বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের কাজের ব্যাবস্থা করবেন।
এর বাইরে ডাক্তার দের আন্দোলনে বহিরাগত তত্ব নিয়ে তিনি যে প্রমাণ সংগ্রহ করছেন তার প্রমাণ ও তিনি দিতে সচেষ্ট হন তিনি ।
এর পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর্যালোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দেন । কখনো ইভিএম পদ্ধতি ও বিজেপির কারচুপির তত্ব খাড়া করেন কখনো সিপিএমকে আক্রমণ করেন বিজেপি কে সমর্থন করায় ।
সিআরপিএফ কে উৎকোচ তত্ত্ব সামনে আনেন । শেষমেশ তার ঘোষণা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ব্যালট বাক্সে ভোটের দাবীর ডাক দেওয়া হবে । অন্তিমে তাঁর অনুধাবন , ক্ষমতায় এসে শান্তির কথা বলেছেন তিনি । ক্ষমার তত্ব নিয়ে তিনি এখন দ্বিধা বিভক্ত । উল্লেখ্য এদিনও জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়।