নিজস্ব প্রতিনিধি, বসিরহাট :- সন্দেশখালির পরে বৃহস্পতিবার রাতে হাসনাবাদের টাকি তোকিপুর গ্রামে খুন হন সরস্বতী দাস নামে এক মহিলা। রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভিতরে ঢুকে মহিলার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও মাথায় গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরে দীর্ঘক্ষন কেটে গেলেও খুনের সঠিক কারণ উঠে না আসলেও, খুনের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে শুরু হয় টানাপোড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ওই মহিলাকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার সকালেও ওই মহিলাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করতে শোনা যায় স্থানীয় মাখালগাছা পঞ্চায়েত এর প্রধান রকেয়া মন্ডলকে। তৃণমূলের সব দাবি উড়িয়ে মহিলাকে বিজেপি কর্মী হিসেবেই দাবি করেন বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। জানা যায় একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলেও বেশ কয়েক মাস যাবত বিজেপির সঙ্গেই কাজ করতেন ওই মহিলা। লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে একাধিক বিজেপির কর্মসূচিতেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় তাকে। আর তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার অপরাধে তাকে খুন করা হয়েছে বলে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। মহিলার খুনের ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার বসিরহাটে আসেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। ওই মহিলাকে তাদেরই কর্মী হিসেবে দাবি করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ” তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাকে একাধিকবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের জেলা নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের ভ্রান্ত রাজনীতি ছেড়ে যারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে তাদেরকেই বেছে বেছে খুন করা হচ্ছে এই রাজ্যে”। মহিলার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে এদিন সন্ধ্যায় বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্তের পর বিজেপি নেতৃত্বের উপস্থিতিতে মৃত দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।