সানওয়ার হোসেন, নামখানা :- গতকাল সন্ধ্যায় ফ্রেজারগঞ্জ থানার জেটিঘাট এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন ফ্রেজারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারি গৌতম বিশ্বাস। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানতে পারেন যুবকটি কিঞ্চিৎ মানসিক ভারসাম্যহীন। তার থলে থেকে একটি ফোন নম্বর পেয়ে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, অবশেষে যুবকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়। আজ যুবকের বাবা ও ছত্রিশগড়ের দার্রি থানার একজন আধিকারিক এসে পৌঁছায় ফ্রেজারগঞ্জ থানাতে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যুবকের নাম সত্যনারায়ন কেওয়াট (২৭) পিতা রামদুলাল কেওয়াট, কোরবা জেলার লাটা গ্রামের বাসিন্দা।
যুবকের পিতা জানান ১২ বছর আগে আমার ছেলের মাথার একটু সমস্যা দেখা দেয়, ও পড়াশোনায় খুব ভাল ছিল। তারপর থেকে কখনো ভালো কখনো মন্দ চলছিল। কিন্তু গত দুই মাস যাবত খুঁজে পাচ্ছিলাম না, অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। হঠাৎ গতকাল ফেজারগঞ্জ থানার বড়বাবু ফোন করে জানান আমার ছেলেকে ফ্রেজারগঞ্জ থানায় রাখা আছে। শোনামাত্র তড়িঘড়ি রাতের ট্রেন ধরে সকালে ফ্রেজারগঞ্জ থানায় এসে পৌঁছাই। থানার আধিকারিক উপযুক্ত প্রমাণ নিয়েই আমার ছেলেকে আমার হাতে তুলে দেয়। এই মানবিক পরিচয় দেওয়ার জন্য ফেজাররগঞ্জ থানা আধিকারিককে কৃতজ্ঞতা জানাই। রামদুলাল এর সাথে আসা দার্রি থানার পুলিশ জাভেদ সেলিম খান বলেন গত পয়লা জুলাই সত্যনারায়ণ নিখোঁজ হয়, ১৬ ই জুলাই আমাদের থানাতে একটি নিখোঁজ দরখাস্ত করেন। আমরা বিভিন্ন থানাতে অনুসন্ধান বার্তা পাঠাই, তাতেও কোনো ফল হয়নি। অবশেষে খবর পেয়ে ফ্রেজারগঞ্জ থানা থেকে উদ্ধার করতে পারলাম। এজন্যই ফেজার গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গৌতম বিশ্বাস সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সাধুবাদ জানাই। ফ্রেজারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারী গৌতম বিশ্বাস বলেন একজন নিখোঁজ ব্যক্তিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি গর্বিত।