অগ্নিভ ভৌমিক, বিশেষ সংবাদদাতা :- “এটা গণতন্ত্রের অপমান”। মঙ্গলবার বিরোধীদের তরফ থেকে এই কটাক্ষই ধেয়ে এল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে যখন দেশের সাংসদদেরই সেখানে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তখন কি করে মোদী সরকার বিদেশী সাংসদদের কাশ্মীর সফরের ছাড়পত্র দিলেন, প্রশ্ন তুলছে বিরোধী পক্ষ।
প্রসঙ্গত, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮ জনের প্রতিনিধি দল, শ্রীনগর বিমানবন্দরে পা রাখে। তাদের অধিকাংশই অতি দক্ষিণপন্থী বা শরণার্থী বিরোধী হিসেবে পরিচিত। এই দলে মাত্র তিন জন বামপন্থী রয়েছেন। যদিও এই সফরকে ‘সরকারি সফরে’র তকমা দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও বিদেশি সাংসদের এই সফর নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ।
এ দিন সকালে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করেন, ‘ভারতীয় সাংসদের বাধা দেওয়া হলেও ইউরোপের সাংসদের জম্মু ও কাশ্মীরের গাইডেড ট্যুরে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কোথাও একটা খুব বড় ভুল রয়েছে।’
বিরোধীরা এই সফরকে, ‘গণতন্ত্রের অপমান’-এর তকমা দিয়েছেন। কারও কটাক্ষ ‘জাতীয়তাবাদের কি অদ্ভুত নমুনা’।
শশী থারুরও এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হন। দেশীয় সাংসদদের বাধা দিয়ে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাংসদদের শ্রীনগরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে, যার বিরোধ করে শশী থারুর।
এ বিষয়ে চুপ থাকেননি প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢ়রা। মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে এ দিন টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ইউরোপীয় সাংসদদের কাশ্মীরে সফর ও হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হচ্ছে। অথচ ভারতীয় সাংসদ ও নেতাদের বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কী অসাধারণ জাতীয়তাবাদ এটা!
প্রসঙ্গত, ৫ই আগস্ট, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর উপত্যকার নিরাপত্তা কড়া করে মোদি সরকার। জারি করা হয় কার্ফু। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ থাকে অফিস কলেজ। এর পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কেন্দ্রীয় বার্তা দেওয়া হলেও তা নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা।