সনাতন গরাই, দুর্গাপুর :- ফের চরম নাশকতারই জর্জরিত দুর্গাপুরের মানুষ। গত শনিবার কিডনি দালাল চক্রের সাথে যুক্ত সন্দেহ হওয়ায় নাম্বার স্ট্রিট থেকে দুই জনকে গ্রেফতার করে,তাদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিল।শনিবার তাদের জেরা করে মূল পান্ডার কাছে পৌঁছুতে চাইছিলো।কিন্তু জিজ্ঞাসা করার কিছুক্ষন পর সন্দেহভাজন ওই মহিলাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।অভিযোগকারীর অভিযোগ ডোনারের নাম করে প্রায় দুইলক্ষ ষাটহাজার টাকা অভিযুক্ত নিয়েছিল,সাথে ওই মহিলাও ছিল।অভিযোগকারী রঘুনাথ মন্ডল জানান আমার স্ত্রী অসীমা মন্ডলের একটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে সেই জন্য একজন ডোনার খুজছিলাম। ঠিক সেই সময় ওত পেতে বসে এক দালাল তথাগত সিংহ রায় ও তার সাথে এক মহিলা মঞ্জিলা ব্যানার্জী।অভিযুক্তকারী দুজনে জানান কিডনি ডোনার পেয়ে যাবেন,তারপর বলে অপারেশন হওয়ার আগেই পুরো টাকা পেমেন্ট করতে হবে।সেই কথার ভিত্তিতে রঘুনাথ মন্ডল ও তার স্ত্রী ওই চক্রে পা দিয়ে ফেলেন। তথাগত সিংহ রায় একটি মেয়েকে তাঁর সাথে নিয়ে আসে এবং ভালো আইনজীবী বলে একাধিকবার ধাপে ধাপে টাকাগুলো নেই।অসীমা দেবীর স্বামী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানায় কাজ করেন সেইজন্য টাকা দিতে সমস্যাই পড়তে হত। এরই মধ্যে টাকা নেওয়ার সময় অকথ্য কথাই গালি দেয় ওই অভিযুক্ত,তারপরই এলাকার মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।ভয় পেয়ে পুরোটাই স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তকারীরা।পরে কোকোভেন থানার পুলিশ জানান অভিযুক্তকারীরা যতটুকু বলেছে সম্পূর্ণটাই মিথ্যা।এলাকার মানুষ জানায় পুলিশ আটক করার পরেও ওই অভিযুক্ত মহিলাকে ছেড়ে দিল।

সোমবার তথাগত সিংহ রায় ওরফে রনিকে কিডনি পাচারকাণ্ডের সাথে যুক্ত ধারায় মামলা করা হয়।কোকোভেন থানার পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে আরো কোনো বড়ো ধরণের কান্ড করেছে নাকি খতিয়ে দেখছেন,এটাও দেখছেন এই কাণ্ডের সাথে আর কেও যুক্ত আছে কিনা।অভিযুক্ত তথাগত সিংহ রায় ও মঞ্জিলা ব্যানার্জী দুর্গাপুরে গত কয়েক মাস ধরে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছিল।তারপর আস্তে আস্তে পুলিশ তদন্ত করে দুই অভিযুক্তকারীকে গ্রেফতার করে।কোকোভেন থানার পুলিশ জানায় ছেড়ে দেওয়া ওই মহিলাকে প্রয়জনে আবার ডাকা হবে।