কেডিএস :- সারা দেশ জুড়ে চলা গণপিটুনি ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। এ বার কাশ্মীর ইস্যুতেও কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন।
টুইট করে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লেখেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর ১৯৮৯-৯০ সালে অনেক অত্যাচার হয়েছে। তাঁরা যে বাড়ি ফিরতে পারছেন, সেটা শুনে ভালো লাগছে। আশা করব, তাঁরা বাড়ি ফিরলেও, প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারটা আর ফিরবে না। শান্তি বিরাজ করবে কিনা তা সময় বলবে। কিন্তু এই অগণতান্ত্রিক বিভাজনের পর কাশ্মীর কি আদৌ কাশ্মীর থাকবে?”
চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ টুইট করেন বাহারাইচের একটি কবিতা। সেখানে তিনি কোনও প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি। কবিতাটির মূল কথা হল, একটি সাজানো বাগান ধ্বংস করার জন্য একটি উল্লুকই যথেষ্ট। এখানে তো গাছে গাছে উল্লুক। বাগান বাঁচবে কী করে? যা দেখে অনেকেই বলছেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়েই এমন টুইট করেছেন অনুরাগ।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অপর্ণা বলেছেন, যে অর্থনৈতিক ব্যর্থতা চলছে, তাকে চাপা দিতেই কাশ্মীর নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন নিয়ে বরাবরই সরব অপর্ণা। উনিশের লোকসভায় নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবং বাংলায় বিজেপি-র উত্থান প্রসঙ্গেও ‘আতঙ্কিত’ বোধ করেছেন তিনি। ২০০৭-০৮ সালে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে বাম সরকারের সমালোচনায় অপর্ণা ছিলেন সামনের সারিতে। সেই তাঁকেও বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলায় বিজেপি-কে ঠেকাতে বাম-কংগ্রেসের একজোট হওয়া প্রয়োজন।
৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যে ভাবে আলোচনা না করে এক তরফা সংখ্যার জোরে সরকার এই বিল পাশ করালো এবং একটা রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হল, এটা কখনই গণতান্ত্রিক ধারনা হতে পারে না।
গণপিটুনি এবং অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর অপর্ণাদের বিরুদ্ধে কড়া তোপ দেগেছিলেন দিলীপ ঘোষরা। এমনকী আরএসএস-এর মুখপত্র ‘দ্য অর্গানাইজার’ পত্রিকার সম্পাদকীয় কলমেও সমালোচনা করা হয়েছিল এই বুদ্ধিজীবিদের। এখন দেখার কাশ্মীর নিয়ে অপর্ণা, অনুরাগদের এ হেন মন্তব্যের পর কী প্রতিক্রিয়া দেয় গেরুয়া শিবির। তবে ইতিমধ্যেই ওই টুইট নিয়ে ট্রোল শুরু হয়ে গিয়েছে। এক ব্যক্তি এসে সেখানে লিখেছেন, আপনার অনেক জ্ঞান শুনলাম, এ বার আপনি একটু থামুন ঠাকুমা!