চঞ্চল মিস্তিরী, বাংলাদেশ প্রতিনিধি :-আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে হাতির আক্রমণে আবদুল মোতালেব (৬৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামের বহদ্দার বাড়ির মৃত আবদুল আউয়ালের পুত্র বলে জানা যাই।
সরেজমিন গিয়ে জানা যাই আজ রোববার ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের আগে মসজিদে আজান দিয়ে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে চা খাওয়ার জন্য ঘরে যাচ্ছিলেন আবদুল মোতালেব।
তার পথিমধ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে হাতির সামনে পড়েন তিনি
তখন ওই হাতি শুঁড় দিয়ে উপরে তুলে মোতালেবকে আছাড়ে মেরে চলে যায়।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বেলা ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।নিহত ব্যক্তির স্ত্রীসহ, এক ছেলে ও তিন কন্যা রয়েছে।
নিহত হওয়া ব্যক্তি আবদুল হালিম চৌধুরীর বড় ভাই বলে জানা যাই।মাষ্টার আব্দুল হালিম চৌধুরী সমময়ের বাতায়ন প্রতিনিধিকে বলেন, উনি বিনা বেতনে নিয়মিত বাড়ীর পাশে বায়তুল আমান জামে মসজিদে আজান (মোয়াজ্জিন) ছিলেন এবং প্রতিদিনের ন্যায় আজ ভোরেও মসজিদে আজান দিয়ে নামাজের আগে বাড়িতে চা খেতে আসার পথে এই মর্মান্তিকভাবে হাতির আক্রমণে আহত হন, তৎক্ষণাত এলাকা বাসীর সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পর সকাল ১১ টার দিকে দায়িত্বরত ডাক্তার উনাকে মৃত ঘোষণা করেন তিনি আরো বলেন- আমরা উনাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচাতে পারিনি আনোয়ারা এরকম আরো বহু মানুষ বন্যহাতির আক্রমণে মারা গিয়েছেন এবং প্রচুর জিনিসপত্র ও মালামালের ক্ষতি হয়েছে।
তাই আমি উনার পরিবারের একজন সদস্য হয়ে সরকার ও প্রশাসনের নিকট এই আবেদন করি যে,আমার ভাইয়ের মত যেন বন্যহাতির আক্রমণে আর কারো প্রাণ না যাই এবং কারো ঘরবাড়ি ক্ষয়ক্ষতি না হয় তার যেকোন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, হাতির আক্রমনে একজনের মৃত্যু হয়েছে সেটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি।বিষয়টি বন বিভাগের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।বিগত এক বছরে এ পর্যন্ত বন্যহাতির আক্রমনে আনোয়ারায় চারজন নিহত ও পাঁচজন ব্যাক্তি আহত হয়েছেন।