সানওয়ার হোসেন, ক্যানিং :- প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে কচ্ছপ। আইনের তোয়াক্কা না করে সেগুলো ধরে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে এক শ্রেণীর মানুষ। বনদফতরের আইন অনুযায়ী কচ্ছপ ধরা এবং মারা কঠোর নিষিদ্ধ। অথচ সেই আইন কে অবজ্ঞা করে বিক্রি চলেছে প্রকাশ্য হাটে বাজারে।
জানা গেছে, এক শ্রেণীর মানুষজন সারাদিন মাঠে খালে বিলে এই প্রাণীটি ধরার উদ্যেশ্যে বের হয়, বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর কখনও পায় আবার কখনও পায়না। তবে
কচ্ছপ পাওয়ার পর সঠিক নজরদারি না থাকায় কেউ কেউ প্রকাশ্য বাজারে গিয়ে বিক্রি করছেন আবার কেউ কেউ কচ্ছপ কে গোপন জায়গায় রেখে দরদাম করে তারপর সেখান থেকে বের করে বিক্রি করেন কচ্ছপ প্রেমী মানুষদের কাছে।
প্রায়ই বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে ও হাটে বাজারে কচ্ছপ ধরতে ও কেনা বেচা করতে দেখা যায়। উল্লেখ ক্যানিং, কুলতলি, পাথর প্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর এলাকার বাজার গুলিতে প্রায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় কচ্ছপ। সাধারনত কচ্ছপের কোন নির্দিষ্ট ওজন থাকে না। ২০০ গ্রাম থেকে ২/৩ কেজি ওজনের কচ্ছপ পাওয়া যায় সাধারণত। বন্যপ্রাণ আইনে কচ্ছপ মারা কিংবা ধরে বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু কে শুনছে সে আইনের কথা!
তবে জানা গেছে যারা কঠোর পরিশ্রম করে এই কচ্ছপ ধরার কাজে লিপ্ত তারা সাধারণত দরিদ্র শ্রেণির লোকজন হওয়ায় রুটিরুজির তাগিদে বিভিন্ন মাঠেঘাটে এবং জলাশয়ে এক ধরণের লোহার সিক নিয়ে কচ্ছপ এর সন্ধানে বেরোয়।
দিনের শেষে ভাগ্য সায় দিলে কখনও মেলে আবার কখনওবা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করেও ১টা কচ্ছপের সন্ধান পায় না। আর যেদিন কচ্ছপ পায় সেদিন স্থানীয় যে কোন বাজারে গিয়ে কখন প্রকাশ্যে আবার কখনও পুলিশের ভয়ে গোপনে কথা বার্তা বলে বিক্রি করেন। আবার এই কচ্ছপ লুকিয়ে বিক্রি করার সময় ক্রেতা ও বিক্রেতা কচ্ছপটি কে গোপন স্থানে রেখে দিয়ে দরদাম করে থাকে। কচ্ছপের ওজন যত বেশি হবে দামের পরিমাণও বাড়বে।
উল্লেখ্য কচ্ছপ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় হয়ে থাকে। বর্তমানে এই কচ্ছপ বিলুপ্তীর পথে। ফলে কচ্ছপ ধরা কিংবা মেরে ফেলা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী তথা সমাজকর্মী দের একটাই দাবী সরকারী নজরদারীর অভাবে হাটে বাজারে প্রকাশ্যে কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। ফলে সচেতন না হলে আগামীদিনে পরিবেশ থেকে পুরোপুরি বিলুপ্তী হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ।