রাহুল রায়, পূর্ব বর্ধমান :- লোকসভা ভোটে বিজেপির সাফল্য দেখে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আশায় বুক বাঁধছিলেন যে এইবার হয়তো রাজ্য সরকার সপ্তম পে কমিশন চালু করবেন। কিন্তু সেই আশা ভঙ্গ হয় গত ২৭মে তারিখে নতুন করে পে কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ভীষণ হতাশ হন। তারই ফলশ্রুতিতে আজ শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের প্রাইমারি চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি জমাদেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের তরফে জমায়েত করে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে জানানো হয় যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম পে কমিশনের বেতন দিচ্ছে তাঁর কর্মচারীদের সেখানে রাজ্য সরকার ষষ্ঠ পে কমিশন চালু করতে পারেনি। এতে করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই অসাম্য আর মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে সপ্তম পে কমিশন চালু করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

এ ছাড়াও তাঁরা দাবি জানান যে, যেখানে সব ধরণের ট্রান্সফার বন্ধ আছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু শিক্ষক কোনো অদৃশ্য কারণে বাড়ির কাছাকাছি বদলি হয়ে যাচ্ছেন। অথচ ৭-৮ বছর ধরে বাড়ি থেকে অনেক দূরে চাকরি করতে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা পাচ্ছেন না। ২০১১ সাল থেকে স্কুল গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে সহ শিক্ষকদের দিয়ে জোর করে প্রধান শিক্ষকের কাজ করানো হচ্ছে। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজকুমার বারিক বলেন “আমরা চেয়ারম্যানকে ডেপুটেশন দিলাম দাবি পূরণ না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে”।

★বাইট √পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক- রাজ কুমার বারিক