প্রজ্ঞা পারমিতা দত্ত, কলকাতা :– মাত্র তিন মিনিট একুশ সেকেন্ড…..১৬৭০সালে ঘটে যাওয়া মোঘল -মারাঠা বৈরিতার সময়কালে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে “তানহাজি” দ্য আন সাং ওরিয়র..ছবির ট্রেলরে। এটি অজয় দেবগনের একশোতম ছবি। খরচও একশো কোটি। বাহুবলি ছবির গন্ধ মিলবে এই ছবিতে। যদিও সাংবাদিকের এই মন্তব্যে সহমত হলেন না বলিউড নায়ক অজয়। ওনার বক্তব্য খুবই ভালো ছবি বাহুবলি।কিন্তু সেটা নেহাতই গল্প। আমার এই ছবি ইতিহাসের সত্য ঘটনা অবলম্বনে।
এই ছবির মূল আকর্ষণ, এখানে জুটি বেঁধেছেন অজয়ের বাস্তব জীবনের স্ত্রী কাজলের সঙ্গে। অজয় অভিনয় করেছেন ছত্রপতি শিবাজীর বীর সেনাপতি তানহাজি মালুসারির ভূমিকায়। কাজল অভিনয় করেছেন তাঁর স্ত্রী সাবিত্রীর ভূমিকায়।সহশিল্পীদের মধ্যে ভিলেনের চরিত্রে সাইফ আলি খানকে অজয়ের সঙ্গে দেখা যাবে দীর্ঘ কুড়ি বছর পর। ওম রউত পরিচালিত ও আলজয়-অতুল সুরারোপিত এই ছবির বিশেষ চরিত্রে আছেন শক্তিশালী চরিত্রাভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অজয় জানালেন অনেকদিন পর বাংলায় এলাম। এখানকার মিষ্টি ভোলার নয়। ফুটবল নিয়ে ছবি। কলকাতার টানেই আসা। আগামী বছর শুরুতে আমার এই তানহাজি ছবি মারাঠা শৌর্য্যের পরিচয় তুলে ধরবে আপনাদের কাছে। আপনারা জানবেন দেশভক্তির ইতিহাসের এক অজানা তথ্য। এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, স্বরবর্ণের প্রথম অক্ষর অ অর্থাৎ অজয়, ব্যঞ্জনবর্ণের প্রথম অক্ষর ক,অর্থাৎ কাজল। এটা কি কাকতালীয় না কোনো ঘটনা আছে ? প্রথমে প্রশ্নটা বুঝতে সময় নিলেও স্মার্ট অজয় হেসে বললেন, নেহাতই কাকতালীয়।অবশ্য অজয়ের আসল নাম বিশাল বিরু দেবগন। অজয়ের প্রয়াত পিতা ছিলেন বলিউডের এক নম্বর ফাইট কম্পোজার বিরু দেবগন। তানহাজি ছবিটি থ্রি ডি এবং টু ডি এই দুই ফরম্যাটেই দেখা যাবে। এখন প্রতীক্ষা এই ছবির বক্স অফিস কতদিনে খরচের একশো কোটি টাকা ফেরত এনে দেয়!